শিরোনাম
বদরুল হক,আনোয়ারা প্রতিনিধি :: | ০৩:১৯ পিএম, ২০২২-০৫-১১
আনোয়ারায় গেলো ক'বছর ধরে বোরো আবাদের বাম্পার ফলন হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে বোরো মাড়াইয়ের সময় টানা রৌদ থাকায় স্বস্তিতে বোরো ঘরে তুললেও এবারের বোরো মাড়াইয়ে স্বস্তিতে নেই আনোয়ারার কৃষকরা।
সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় ‘অশনির প্রভাবে বিপাকে পড়েছে উপজেলার কৃষকরা। একদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত কয়েক দিন ধরে কখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আবার কখনো ভারি বৃষ্টি হচ্ছে থেমে থেমে। যার ফলে বোরো নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। বিশেষ করে বৃষ্টি আর আকাশ মেঘলা থাকায় ফসলে আক্রমণ করছে গুণগুনি নামের এক ধরনের পোকা। কৃষকরা বলছে দুয়েকদিনের মধ্যে ধান কাটা না হলে ফসল আর কাটতে হবে না।
পোকার আক্রমণ ও ঘূর্ণিঝড়ের তীব্র ধমকা হাওয়া থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকরা বোরো ফসল দ্রুত মাড়াই করতে চাইলে পুরো উপজেলা জুড়ে দেখা দিয়েছে ধান কাটার শ্রমিক সংকট। অতিরিক্ত মজুরিতেও মিলছে না শ্রমিক। উপজেলার সব চেয়ে ধান কাটার শ্রমিক বেচা কেনার হাট চাতরী চৌমুহনী বাজার, বটতলী রোস্তম হাট ও মালঘর বাজারে কোন শ্রমিকের দেখা মিলছে না। ধান মাড়াইয়ের সময় যেখানে ধান কাটার শ্রমিকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও এই মৌসুমে দেখা যাচ্ছে না এসব শ্রমিকের। সব মিলিয়ে বোরো ধান কাটা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন এখানকার কৃষকেরা। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাটু পানির মধ্যেই চলছে বোরো ধান কাটার কার্যক্রম। তারপর কাঁধে ধানের ভার তুলে পানি পেরিয়ে রাস্তার ধারে রাখা হচ্ছে। ওখান থেকে ভ্যান আট ঠেলা গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাড়ির আঙ্গিনায়। তবে অনেকেই দেখা যায় তারা রাস্তার পাশেই ধান মাড়াই করে ফেলতেছে।অপরদিকে বিভিন্ন হাটবাজারে ধান কাটার শ্রমিকদের তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। যেখানে এই মৌসুমে প্রতি হাটবাজার শ্রমিকে ভরপুর থাকতো সেখানে গুটিকয়েকজন শ্রমিকই দাঁড়িয়ে আছে। তাদের দামও স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ।
দুধকুমড়া গ্রামের চাষি নুর মোহাম্মদ বলেন, এবারে আমি ৪২ শতক জমিতে চাষ করেছি। ধান পেকে গেছে । শ্রমিকের খোঁজে গেলে বাজারে শ্রমিক নেই । যারা কাজ করার জন্য অনুমান উপজেলা থেকে এসেছে তারা দৈনিক ১১০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি চাচ্ছে। আমার পাকা ধান মাঠে ঝরে পড়ছে। অন্য দিকে পোঁকার আক্রমণ বেড়েছে। কুতুবদিয়া থেকে আসা জমির নামের এক ধান কাটার শ্রমিক বলেন, এখন সব জায়গাতেই ধান কাটা শুরু হয়েছে। আনোয়ারাতে ধান কাটার শ্রমিকেরা চকরিয়া,বাঁশখালী থেকেই আসে ওখানে যেহেতু ধান কাটা শুরু হয়েছে তাই এদিকে আর আসা হয়না। আর এই মৌসুমে জমিতে পানি থাকার কারণে ধান কাটতে কষ্ট অনেক বেশি হয় তাই অনেকই এই মৌসুমে ধান কাটার কাজ করেনা।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায় আনোয়ারায় ৫হাজার ৯শ ৮০ হেক্টর জমিতে বোরোর চাষ হয়েছে। যার মধ্যে হাইব্রিডের পরিমাণ বেশি। তাই অনেকটা ফসল বেড়েছে। হেক্টরপ্রতি ধানের উৎপাদন ৫.৫ থেকে ৬ টন ধান হবে। আর এবার চালের লক্ষ্য মাত্র ছিলো ২৪ হাজার মেট্রিক টন।
গুইমারা প্রতিনিধি :: : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
রামু প্রতিনিধি : : বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননী...বিস্তারিত
রাউজান প্রতিনিধি : : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
মীরসরাই প্রতিনিধি : : মিরসরাই উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে তিনটি বসতঘর পুড়ে গেছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) রা...বিস্তারিত
পেকুয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় কেয়া ডেন্টাল কেয়ারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। বুধব...বিস্তারিত
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : : সীতাকুণ্ডের কুমিরায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। অবস্থা এমন যে একটি গ্রামের ঘরে ঘরে জ্বর। আর এসব জ্বর ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited